কক্সবাজার সংবাদদাতা :: কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফ, রামু ও মহেশখালী উপজেলার পাহাড়ি এলাকা গুলোতে প্রশাসন সচেতনতামূলক মাইকিং অব্যাহত রেখেছে। পাহাড় ধসে প্রাণহাণি রোধ করতে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুর থেকে কাজ শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৩০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারের ৩০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই পাহাড়ে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের একটি টিম কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়া, লাইট হাউজ ও বৈদ্যঘোনাসহ ঝুঁকিপূর্ন এলাকা গুলো পরিদর্শন করেন। এসব এলাকায় ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে অনুরোধও করা হয়।
একই সাথে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনও পাহাড়ের ঝুঁকি এড়াতে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলোতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছে।
মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভারী বর্ষণের কারণে ইতিমধ্যে মহেশখালী-বদরখালী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। কুতুবজোম সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে কোন গাড়ী যাওয়া-আসা করতে পারছেনা। দ্বীপের বেশির ভাগ মানুষ অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া মাটির তৈরি বসতঘর গুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন চকরিয়া নিউজকে জানান, এখনো পর্যন্ত কক্সবাজারে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যায়নি। পাহাড় ধসের ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: